ইউটিউব এবং ফেসবুক আবিষ্কারের কাহিনী - BlogKiz

ইউটিউব এবং ফেসবুক আবিষ্কারের কাহিনী

March 02, 2021 admin Hacking Tutorials 0
প্রিয় লুরওয়াপ ভিজিটরগন।
আশা করি সবাই ভালো আছেন। আজকে আলোচনা করা হবে ইউটিউব এবং ফেসবুক আবিষ্কারের কাহিনী। তো চলুন শুরু করা যাক।



YouTube এর ইতিহাস

ভিডিও শেয়ারিংয়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম ইউটিউব। কী নেই এখানে? লুঙ্গি পরার কায়দা-কানুন থেকে শুরু করে নায়াগ্রা ভ্রমণ। সবকিছুই পাওয়া যায়। ইউটিউব দখল করে নিয়েছে ছেলে-বুড়ো সবার মন। হুমড়ি খেয়ে যেভাবে একসময় টিভি দেখতেন, এখন দেখেন ইউটিউব। আয়ও করা যায় সহজে। হওয়া যায় সেলিব্রেটি। সব মিলিয়ে তরুণদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বস্তু হয়ে পড়েছে ইউটিউব। কিন্তু সাইটটি সম্পর্কে আপনি কতটা জানেন? আসুন জানি আরও কিছু।

পথচলা শুরু
শুরুটা ২০০৫ সালে। একটা প্রেমময় দিনে। ১৪ ফেব্রুয়ারি। এ দিনেই ক্যালিফোর্নিয়ার সান মাটেওতে পরীক্ষামূলক চালু হয় ইউটিউব ডটকম। উদ্যোক্তা তিন তরুণ। চাদ হার্লে, স্টিভেন চ্যানজাভেদ করিম। কাজের সুবাদে একসঙ্গেই থাকতেন তিন বন্ধু। চাকরি করতেন অর্থ আদান-প্রদানের বৃহৎ প্রতিষ্ঠান পেপ্যালে। কাজ আর নিজেদের প্ল্যানিং শেয়ারিং চলত একসঙ্গে। তবে ঝামেলা বাধল কিছুদিন পর। পেপ্যালের মালিক প্রতিষ্ঠানকে বিক্রি করে দিলেন অনলাইনে নিলাম ওয়েবসাইট ইবের কাছে। চাকরি গেল অনেক কর্মীর। সঙ্গে চাদ হার্লে, স্টিভেন চ্যান ও জাভেদ করিমেরও।

চাকরি হারানো তিন বন্ধু ভাবনায় পড়লেন। ডুবে গেলেন অসীম চিন্তায়। কী করা যায়। কোনটা হবে জীবনের মাইলফলক। হঠাৎ করেই মাথায় এলো ইউটিউবের ভাবনা। অনলাইনে ভিডিও শেয়ারিংয়ের ওয়েব চালু করলে কেমন হয়? মাথা থেকে নেমে এলো মুখে। তারপর কাগজে-কলমে। তিন বন্ধুর কাছেই ভালো লাগল বিষয়টা। ব্যস আর দেরি কেন! এমনিতে অবসরে কিছু করার প্রেরণা ছিল। যেটা হবে একদমই নিজেদের। নিজের মতো করে ভাবা, প্রতিষ্ঠিত করা। শুরু হয়ে গেল ইউটিউব। ২০০৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পরীক্ষামূলক চালু করার পর আনুষ্ঠানিকভাবে সবার জন্য উন্মুক্ত হয় দুই মাস পর। মে থেকে সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য খুলে দেওয়া হলো ইউটিউব। এ দুটা মাস নিজেরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করলেন। প্রতিষ্ঠাতাদের ভাবনায় শুরুটা ছিল স্রেফ মজা। বিনোদন এবং শেয়ারিং। তাই নিজেদের সামান্য অর্থ দিয়েই শুরু হয়েছিল বিশাল এই প্ল্যাটফরম। কিন্তু এটা যখন ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠল। বিপুল পরিমাণ ইউজার আসতে লাগল সাইটে। এগিয়ে এলো একটা বড় কোম্পানি। সেকুয়া ক্যাপিটাল নামের ওই কোম্পানি সে বছরই নভেম্বর মাসে ইউটিউবে বিনিয়োগ করলেন ৩৫ লাখ মার্কিন ডলার। সাইটের জনপ্রিয়তা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিনিয়োগও বাড়ে। পরের বছর এপ্রিল মাসে আরও ৮০ লাখ ডলার যোগ হয় ইউটিউবের একাউন্টে। ইউটিউব এ মুহূর্তে গুগলের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে। ২০০৬ সালে গুগল তার সেবাভিত্তিক বাণিজ্যিক সম্প্রসারণের উদ্দেশ্যে ১.৬৫ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে ইউটিউব কিনে নেয়। বর্তমানে জনপ্রিয়তার শীর্ষে এই ভিডিও সাইটটি।

সবচেয়ে বেশি দেখা ভিডিও
ইউটিউবে সবচেয়ে বেশি দেখা ভিডিও কোনটি? গ্যাংনাম স্টাইল। নিঃসংকোচেই বলা যায়। কারণ গ্যাংনাম স্টাইল যতবার দেখা হয়েছে তার ধারেকাছেও নেই অন্য কিছু। এর পরিসংখ্যান দেখলে রীতিমতো মাথা হট হয়ে যাবে।

সবচেয়ে বেশি আয়কারী ‘পিউডাইপাই’
ইউটিউবে সবচেয়ে জনপ্রিয় চ্যানেলটির নাম পিউডাইপাই। স্বাভাবিকভাবে আয়টা তাদেরই বেশি হওয়ার কথা। হচ্ছেও তাই। শুধু আয় নয়, পিউডাইপাইয়ের ক্রিয়েটর এখন রীতিমতো কোটিপতি বনে গেছেন। গত বছর চ্যানেলটি ইউটিউব থেকে আয় করেছে ৭.৪ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ ৫৬ কোটি।

প্রথম ভিডিও
ইউটিউবের প্রথম ভিডিওটি ছিল মাত্র ১৮ সেকেন্ডের। যেটি তৈরি করেছিলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সহপ্রতিষ্ঠাতা জাভেদ করিম। ভিডিওর নাম ‘মি অ্যাট দ্য জু’। ভিডিওটি জাভেদ করিম সান দিয়েগোর চিড়িয়াখানায় তৈরি করেছিলেন। ২০০৫ সালে ২৩ এপ্রিল ভিডিওটি আপলোড করা হয়।

ইউটিউবের প্রতিষ্ঠাতা বাংলাদেশি?
বিশ্ববিখ্যাত এ সাইটের প্রতিষ্ঠাতা একজন বাংলাদেশি। বিষয়টি অন্যরকম প্রেরণার। বাঙালি পারে এবং পারবেন এর চেয়ে বড় উদাহরণ আর কি আছে। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এ তরুণ প্রতিষ্ঠাতার নাম জাভেদ করিম। যদিও জাভেদ করিমের জন্ম জার্মানিতে, কিন্তু তার বাবা নাইমুল করিম একজন খাঁটি বাঙালি

সবচেয়ে বড় ভিডিও
আপনার যদি ইউটিউবে সবচেয়ে বড় ভিডিওটি দেখার শখ হয় তবে বেশ লম্বা সময় নিয়ে প্রস্তুতি নিতে হবে। লাগবে টানা ২৫ দিন। নিশ্চয়ই অবাক হচ্ছেন। কত ঘণ্টার তাহলে ভিডিওটি? সোজা হিসাব— ৫৯৬ ঘণ্টা ৩১ মিনিট ২০ সেকেন্ড । গুনে গুনে ২৫ দিনই লাগবে। ২৫ দিনের ব্যাপ্তি এ ভিডিওটি তৈরি করেছেন জোনাথান হেনড্রিক নামের একজন অ্যাপস ডেভেলপার।



Facebook এর ইতিহাস

২০০৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এসময়ের সবচেয়ে বেশী ব্যবহৃত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ।

কিভাবে কে তৈরী করলো এই ফেসবুক তা নিয়ে মানুষের রয়েছে কৌতূহল। আসুন আজ সেই কৌতূহল দূর করি। জানি ফেসবুক তৈরির কাহীনি ।

আমেরিকান কম্পিউটার প্রোগ্রামার ও সফটওয়্যার ডেভেলপার মার্ক জাকারবার্গ হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় তার রুমমেট ও কম্পিউটার বিজ্ঞান বিষয়ের ছাত্র এডওয়ার্ডো সেভারিন, ডাস্টিন মস্কোভিত্‌স এবং ক্রিস হিউজেসের সাহায্য নিয়ে ফেসবুক নির্মাণ করেন। প্রথমে ২০০৩ সালের ২৮ অক্টোবর মার্ক এলিয়ট জুকারবার্গ ফেসম্যাশ ডট কম নামে একটি ওয়েবসাইট প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আর ঐ সাইটের জন্য নিজের কলেজের ডাটাবেজও হ্যাক করেছিলেন তিনি। হ্যাক করা হার্ভার্ড কলেজের ডাটাবেজ থেকে স্টুডেন্টদের ছবি নিয়ে তা ফেসম্যাশে ব্যবহার করে ভিজিটরদের “হট” অথবা “নট” ভোটিংয়ের ব্যবস্থা করেছিলেন তিনি। পরে কলেজের শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে এই সাইট বন্ধ করতে বাধ্য হয় জুকারবার্গ।

মুলত ঐ ফেসম্যাশ ওয়েবসাইট থেকেই ফেসবুকের চিন্তা মাথায় আসে জুকারবার্গের। আর সেই ভাবনা থেকেই ২০০৪ সালের ১১ই জানুয়ারী দিফেসবুক ডট কম ডোমেইন কিনে ফেলেন তিনি।

মার্ক জুকারবার্গ যখন “দ্য ফেসবুক” নামে নতুন সাইটটি চালু করেন তার পরবর্তী ২৪ ঘন্টার মধ্যেই ১২০০ জন শিক্ষার্থী এতে রেজিস্ট্রেশন করেন। প্রথমদিকে এটি শুধুমাত্র হার্ভার্ড কলেজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকলেও ২ মাসের মাথায় আরও এটি বোস্টন শহরের অন্যান্য কলেজ, আইভি লীগ এবং স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সম্প্রসারিত হয়।

জুন মাসের মধ্যে সাইটে প্রায় দেড় লাখ ( ১,৫০,০০০ ) ইউজার ফেসবুক ব্যবহার করা শুরু করে এবং ডিসেম্বর মাসের মধ্যে এই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ১ মিলিয়ন এ। তবে এ সময় শুধুমাত্র ১৩ বছরের উপরের বয়সের ছেলে ও মেয়েরা এটি ব্যবহার করতে পারতেন। এসময় ফেসবুকে কোনো ছবি আপলোড করা, ওয়াল, নিউজ ফিড, ইভেন্ট, পেজ ইত্যাদি ফিচার ছিল না।

অবশেষে ২০০৫ সালের আগস্ট মাসে জুকারবার্গ শ্রুতিমধুর নামের কারণে “দ্য ফেসবুক (The Facebook)” কে সংক্ষিপ্ত করে “ফেসবুক (Facebook)” রাখেন এবং এই নামে একটি ডোমেইন কিনেন। তবে এজন্য খরচ হয়েছিল দুই লাখ মার্কিন ডলার। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।

এরকম নিত্যনতুন আর্টিকেল পরতে আমাদের Website থেকে ঘুরে আসুন।
Website Link : LurWap.9in.us

✰ ধন্যবাদ ✰
Comments
0 Responses
Be The First To Comment Here

Leave a Reply

Name:


Comment:


Category List
Design with ❤ by ClickLur